চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় এক কিশোরকে -পা বেঁধে নির্মমভাবে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ১২ বা ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরের পরনে ছিল কালো রঙের টি–শার্ট ও প্যান্ট। ভিডিওতে দেখা যায়, তার দুই হাত টেনে একটি গ্রিলের সঙ্গে বাঁধা, পেছন দিক থেকে একটি ডিশ কেব্লের সাহায্যে কোমর পেঁচিয়ে বাঁধা হয়েছে গ্রিলের সঙ্গে। পা দুটোও একসঙ্গে বাঁধা। এই অবস্থায় এক যুবক কিশোরটিকে পেটাচ্ছেন।
নির্যাতনের সময় কিশোরটি যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল। মারধরকারী যুবকের পরনে ছিল ছাই রঙের টি–শার্ট। তিনি একটি মোটা কলার কান্দি দিয়ে বারবার কিশোরকে আঘাত করছিলেন। আশপাশে থাকা কয়েকজন ঘটনাটি দেখলেও কেউ থামানোর চেষ্টা করেননি। শুধু একজন ব্যক্তি মাঝেমধ্যে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে তাতে কাজ হয়নি, বরং যুবকটি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন।
ভিডিওর ক্যাপশনে ঘটনাস্থল উল্লেখ করা হয়েছে বহদ্দারহাট পুকুরপাড়, এবং বলা হয়েছে, কিশোরটি মুঠোফোন চুরি করেছে—এই অভিযোগে তাকে এভাবে নির্যাতন করা হয়। তবে নির্যাতনের সময় কিংবা নির্যাতনকারী ও নির্যাতিত কিশোরের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এ ধরনের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ‘চুরির অভিযোগ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল, এমন পৈশাচিক নির্যাতন নয়।’ মো. হুমায়ূন নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘যাদের কাছে বড় চোরের খবর থাকে না, তারা এইসব ছোট চোর পেলে এ রকম করে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি ভিডিওটি দেখেছি। আজ দুপুরে পুলিশ পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। কিন্তু কেউ কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। তারা যদি আমাদের হাতে দিত, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতাম।’
এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
Comments 0