বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন,
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন,
জীবন দিয়ে হলেও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করে যাবো। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ফোরামের উদ্যোগে জনগণের উপর অযৌক্তিক ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকেই বলেছিলো বিএনপির লোক অন্যদলে চলে যাবে। আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপির একটি কর্মীও অন্যদলে যোগ দেয়নি। অতএব বিএনপি খাঁটি গণতন্ত্রী, বিএনপির সংবিধানে অনুগত, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদদের আদর্শের দল। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক বিভাজন চাই না।
এসময় তিনি বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে পেরেছি। আমরা আশা করি বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সে নির্বাচনে বাংলাদেশের সঠিকজনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। দেশে সংস্কার হবে, আইন প্রণয়ন হবে। সকল কিছুই হবে, কিন্তু তার আগে ষড়যন্ত্র করে ১/১১ এর মত বিলম্বিত যেন না হয়।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, হাসিনার পতন শুধু জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। গত ১৬ বছর ধরে দেশের সাধারণ মানুষ এবং গণতন্ত্রকামী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করেছি। জেল জুলুম হামলা মামলা সব সহ্য করেছি। রাতে আমাদের ঘুম হারাম ছিল, কবরস্থানে ঘুমিয়েছি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আর কখনো মাথা ঘামাবেন না। অতীতে করেছেন শেখ হাসিনার জন্য, এখন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেই। বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবি আপনাকে দিতে হবে। আর তালবাহানা চলবে না।
জিয়াবাদ বা মুজিববাদও আর চাই না জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়কনাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন বক্তব্য না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, যে জিয়া বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত দিয়েছেন, যেই জিয়া সার্ক গঠন করেছেন, যেই জিয়া খাল খনন করে কৃষকদের সেচের ব্যবস্থা করেছেন, যে জিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বসে সমস্যা সমাধান করেছে। সেই জিয়াবাদ নিয়ে দয়া করে কোন মন্তব্য করবেন না।
তিনি আরও বলেন, এই সময় আমাদের মধ্যে অনৈক্য তৈরি করা যাবে না। এই অনৈক্য আবার শেখ হাসিনার পেতাত্মারা যারা সচিবালয়ের চারদিকে বসে আছে এদেরকে সুযোগ করে দেওয়া। অনুগ্রহ করে এমন সুযোগ আর করে দেওয়া যাবে না।
ফারুক বলেন, দেশে আর ডিম, চাল, পেঁয়াজের সিন্ডিকেট থাকবে না। এমন দেশ গর্ব যে বাংলাদেশের বিচারের নামে আর প্রহসন হবে না। এমন দেশ গর্ব, যেই দেশে আর আয়না ঘর হবে না। এমন দেশ গড়ব যে দেশে হার দুর্নীতি হবে না। এমন দেশ গর্ব যে দেশে আইনের শাসন চলবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী সহ প্রমুখ।
০৪টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি প্রত্যাহার এবং ০১টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি স্থগিতকরণ প্রসঙ্গে।
January 27, 2025
Comments 0