খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেলা তিনটা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা ৪৫) চলছিল।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসের রাজনীতি ফেরানো, শিক্ষার্থীদের মারধর, মাইক কেড়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে ভিসির বাসভবনের সামনে অবরোধ করে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দুপুরে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
শিক্ষার্থী মুজাহিদ ও উৎপল জানান, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতি প্রবেশ করানো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর উসকানি প্রদান করে হামলা, মাইক কেড়ে নেওয়ার কারণে অন্তত ১৮ জনকে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
তাদের দাবি কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ও শাস্তির বিধান উল্লেখপূর্বক প্রজ্ঞাপন আকারে অর্ডিনেন্স এ যুক্ত করতে হবে। সেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটে রাজনীতি প্রবেশের জন্য সহায়তা করেছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কুয়েট ক্যাম্পাসকে সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে।
Comments 0