ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, মামলার ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে কেউই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য দেননি, যা মামলাটির ভিত্তি দুর্বল করে তোলে। এর ফলে, খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায়, আদালত তাদের খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।
মামলাটি ২০০৭ সালে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) দায়ের করেছিল, যেখানে খালেদা জিয়া ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষতির অভিযোগে। অভিযোগ ছিল, তারা তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়েছিলেন, যার ফলে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তবে মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও আদালত প্রক্রিয়ায়, কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তার জড়িত থাকার পক্ষে সাক্ষ্য দেননি। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যে, আদালত রায় ঘোষণার সময় বলেছেন, "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছিল।" এর পাশাপাশি, আইনজীবী আরও জানান যে, মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায়, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে।
এছাড়া, রায়ে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ৩৯ জন সাক্ষী মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামিদের কোনো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারেননি। এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, পুরো মামলাটি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং উদ্দেশ্য ছিল খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা।
এছাড়া, খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, সাবেক ঢাকা ক্লাব সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, এবং বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর, দুদক তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে এবং ২০০৮ সালে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন হলেও, আদালতের রায়ে সব আসামি খালাস পেলেন।
০৪টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি প্রত্যাহার এবং ০১টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি স্থগিতকরণ প্রসঙ্গে।
January 27, 2025
Comments 0