তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন, তাহলে হজযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করবেন এবং সেই অর্থ সবাই মিলে ভাগ করে নেবেন।
তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন, তাহলে হজযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করবেন এবং সেই অর্থ সবাই মিলে ভাগ করে নেবেন।
বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা এবার এক নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে গেছে। আসন্ন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নির্বাচনে প্রার্থী প্যানেলপ্রধান সৈয়দ গোলাম সরোয়ার এক অশুভ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, যদি তিনি নির্বাচিত হন, তাহলে হজযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করবেন এবং সেই অর্থ সবাই মিলে ভাগ করে নেবেন। এই ঘোষণা দেশের হজ এজেন্সি সদস্যদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে এবং হজ ব্যবস্থাপনাকে কলুষিত করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হাবের সদস্যরা বলেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে আল্লাহর মেহমানদের সেবা করার কাজ করে আসছেন এবং এটি তাদের জন্য শুধু একটি ব্যবসা নয়, বরং একটি পবিত্র দায়িত্ব। তবে সৈয়দ গোলাম সরোয়ারের এমন ঘোষণায় হজযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা হজ ব্যবস্থাপনাকে একেবারে নৈতিকতা ও ধর্মীয় শুদ্ধতা থেকে বিপথে পরিচালিত করবে। সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকরা এমন ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন এবং তা কোনওভাবেই হতে দেবেন না, এমনটি তারা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
হাবের সাবেক সাংস্কৃতিক সচিব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাব সবসময় সিন্ডিকেট মুক্ত ছিল এবং গোলাম সরোয়ারের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। তাঁর মতে, হজযাত্রীদের প্রতি এমন অবিচার আল্লাহ সহ্য করবেন না। সাবেক সহসভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমানও সরোয়ারের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। সিন্দবাদ টুরসের মালিক আলহাজ জামাল হোসেনের মতে, এই ধরনের সিন্ডিকেটের ঘোষণায় তিনি হতবাক এবং হজ ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতির দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, হাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন এখন শুধুমাত্র একটি সাধারণ নির্বাচন নয়, বরং হজ ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও নৈতিকভাবে পরিচালিত করার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
০৪টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি প্রত্যাহার এবং ০১টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি স্থগিতকরণ প্রসঙ্গে।
January 27, 2025
Comments 0