সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত ৬৫৩১ জনের যোগদানের সুযোগের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত ৬৫৩১ জনের যোগদানের সুযোগের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ।
রোববার শাহবাগ মোড়ে মহাসমাবেশ থেকে বেলা ৩টার দিকে এই পদযাত্রা বের করেন আন্দোলনকারীরা। তবে পদযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে হাইকোর্টে মাজার রোডের কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষা ভবনের কাছে অবস্থান নেন তারা।
এর আগে সকাল ৯টার পর থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন আন্দোলকারীরা। সেখানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জেলা থেকে নিয়োগ প্রত্যাশীরা অংশ নেন। টানা ১১ দিনের মত এই কর্মসূচি চালাচ্ছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মহিববুল্লাহ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্তদের ওপর চরম অন্যায় করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা এখন চাকরি করছেন অথচ একই প্রক্রিয়ায় সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এক নিয়োগে দুই নীতি-মেনে নেওয়া হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। ১ম ও ২য় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ৩য় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় ২১ এপ্রিল ২০২৪ এবং ১২ জুন ২০২৪ ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ৩য় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। কিন্তু সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়া ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ৬৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ছয়মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। এর পর আন্দোলনে নামেন ভুক্তভোগীরা। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নিয়োগের আশ্বাস দেয়া হলেও চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্টে সাতটি শুনানির পর চূড়ান্ত জাজমেন্টে ৬ ফেব্রুয়ারি ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে। ফলে নিয়োগ পেতে লাগাতার আন্দোলনে নামেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
০৪টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি প্রত্যাহার এবং ০১টি কলেজের পাঠদানের অনুমতি স্থগিতকরণ প্রসঙ্গে।
January 27, 2025
Comments 0